আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও মিম এর প্রথম বিয়ে ও মামলার বর্ননা।

জনাব,
         সন্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, পিতা- মোঃ গিয়াস উদ্দিন,   সাং- উত্তর মারিশ্যার চর মু/ব্লক, থানা- লংগদু, জেলা- রাঙ্গামাটি।
বর্তমানে- সাং বাইট্টাপাড়া, থানা-লংগদু, জেলা রাঙ্গামাটি থাকি।

আমি পেশায় একজন মোবাইল, কম্পিউটার মালামাল এর ব্যবসায়ী  এবং পাশাপাশি কম্পিউটার & মোবাইল সার্ভিসিং, ফটো কপি, ছবি প্রিন্ট, গান লোড,বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিও, এডিটিং এর কাজ করতাম। আমার দোকানে আমি এবং আমার ছোটভাই কাজ করতাম।

অদ্য ২৯/৮/২০১৭ ইং BD Police Helpline এ অভিযোগ প্রদান করিতেছি যে বিবাদি-
১) মোঃ মজিবুর রহমান, পিতা- মৃত আঃ ওহাব ভুইয়া, সাং- কালু মাঝির টিলা, থানা- লংগদু, জেলা রাঙ্গামাটি।
২) মর্জিনা আক্তার মীম, পিতা- মজিবুর রহমান, সাং- কালু মাঝির টিলা, থানা- লংগদু, জেলা রাঙ্গামাটি।
৩) আমেনা বেগম, পিতা-আঃ হাকিম মুল্লা, সাং- কালু মাঝির টিলা, থানা- লংগদু, জেলা রাঙ্গামাটি।
৪) জাহাঙ্গীর, পিতা- আঃ  হাকিম মুল্লা, সাং-ফুরের মুখ, থানা- লংগদু, জেলা- রাঙ্গামাটি।
৫) বেলাল, পিতা- আঃ  হাকিম মুল্লা, সাং-ফুরের মুখ, থানা- লংগদু, জেলা- রাঙ্গামাটি।
৬) মোঃ কামাল উদ্দিন (কাজী), মৃত আলী মিয়া, ঘাগড়া, রাঙ্গামাটি
৭) ইয়াকুব আলী, পিতা- মৃত কলিম উদ্দিন, সাং- পীর গাছা জোল পাড়া, পোঃ- পীর গাছা মহেশপুর, ঝিনাইদহ এছাড়াও অজ্ঞাত ৫/৬ জন  বিবাদী বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে-

(১) আমি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গত ০৩-০৫-১৬ তারিখে মজিবুর রহমানের মেয়ে মর্জিনা আক্তার মীম কে (২য়) বিয়ে করি আমার শাশুড়ি আমেনা বেগম এর প্রলোভনে পরে।
বিয়ের আগে আমার শ্বশুর শাশুড়ির মধ্যে অমিল থাকায় আমার শাশুড়ি আমেনা বেগম মেয়েদের নিয়ে ভাড়া থাকত
লংগদু উপজেলার রাবেতা ক্যাম্পাস সংলগ্ন মুসলিম ব্লক গ্রামের সবুজের বাসায়।
আর আমার শ্বশুর মজিবুর রহমান থাকত তার নিজ বাসা কালুমাঝির টিলা, লংগদু, রাঙ্গামাটি।
 তিনি সেখানে বাড়ির পাশেই মুরগীর ফার্ম, কাট/ফার্নিচার ব্যাবসা সহ কালুমাঝির টিলা তে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। মাঝে মাঝে মজিবুর রহমান তার স্ত্রীর কাছে আসতেন।
 এক পর্যায়ে মর্জিনা আক্তার মীম আমার বাড়িতে চলে আসে।
 এর কিছুক্ষন পর আমার শাশুড়ি এসে বলে বাবা বাড়িতে ভেজাল লাগছে তোমর উপর বিপদ আসতে পারে তুমি মিম কে নিয়ে ঘাগড়া চলে যাও ।
এবং একটি জন্মনিবন্ধন দেয়।
 এবং বলে ঘাগরা গিয়ে তোমরা বিয়ে করে নিও।
 আমার শাশুড়ী আমেনা বেগমের  সহযোগিতায় প্রেমে আবদ্ধ হয়ে গত ৩-৫-১৬ তারিখে আমি মর্জিনা আক্তার মীম কে বিয়ে করি।

(২) আমার শ্বশুর মজিবুর রহমান বিয়েতে রাজি না থাকায় আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি এবং দুনিইয়া  থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।

এক পর্যায়ে আমার বিয়ের কাজীকে টাকা খাইয়ে খুব শক্ত  ভাবে হাত কোরে এবং তার মেয়ে কে অপহরণ ও ধর্ষণ (৭/৩০) মামলা দিয়ে আমাকে এব আমার ছোট ভাইকে এবং ভাগিনাকে পুলিশ  এর কাছে হস্তান্তর করে।
(৩) আমি জেলে থাকা অবস্থায় আমার দোকানের প্রায় ১০ লক্ষ  টাকার মালামাল আত্মসাৎ করে ( তাদের মুখের স্বীকারক্তির  রেকর্ড নিচে দিয়েছি) ।
 আমার বাবা মা সহজ সরল হওয়ায়  অসহায় হয়ে পরে এবং কি করবে দিশে হারা হয়ে পরে- আমাদের ছুটানোর জন্য।
(৪) কাবিন  এর জন্য কাজীর কাছে গিয়েছিল কিন্ত কাজী কাবিন দেখায় তবে তা  দেয়নি মেয়ের বাবার নাকি নিষেধ আছে। পরবর্তীতে আমি  ৬  মাস জেল খেটে বের হলে আমার শ্বশুর ( মজিবুর রহমান )   আমার কাছে আসেন এবং বলতেন যা হবার হয়ে গেছে, বাবা আমি মামলা তুলে নেব আর তোমার মালামাল  টাকা পয়সা ফেরত  দিয়ে দেব। প্রায়ই এমন  টি বলত। তখন আমি আমার মালামাল গুলো মজিবুর রহমান এর কাছে চাই, সে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখায়, সে বলে মাল গুলো  ঢাকা তার শালা ( জাহাঙ্গীর ) এর কাছে আছে,  দেখি পাঠিয়ে দেব, অনেক সময় মোবাইলেও কথা হয়, তখন আমি কথা গুলো রেকর্ড করে রাখি। ২ টি  রেকর্ড নিচে আপলোড করে দিলাম।
  যে মালামাল গুলো নিয়ে যায় তা হচ্ছে

    ১ টি Lanovo ল্যাপ্টপ

    ১ টি Panasonic HC-V500 ভিডিও ক্যামেরা

    ৪ টি মোবাইল এর ফ্ল্যাশ বক্স

    ৩০ টি বিভিন্ন মডেল এর এন্ড্রয়েড মোবাইল যা কাস্টমার আমাকে মেরামতের জন্য দিয়েছিল।

     এক সেট মোবাইল সার্ভিসিং এর যন্ত্রপাতি
    বেশ কিছু মোবাইল, কম্পিউটার এর পার্স
    নগদ ২,৭০,০০০ টাকা

নিরুপায় হয়ে তাদের আমি এমনও বলেছিলাম "বাবা আমার মাল গুলো যদি না দেন কাস্টমার এর মোবাইল গুলো দিয়ে দিন। আমি আর্থিক ভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত।

মালামাল- রেকর্ড ১,২


আমি কাস্টমার এর মোবাইল গুলোর জন্য দোকানে আসতে পারি না। কাস্টমার আমার দোকানে এসে বিচার বসায়, বিভিন্ন মানহানি মুলক কথা বলে। কাস্টমার এর কথায় আমি মাথা নত করে শুনে যাই এবং সময় নেই।
আমি এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে ও চেয়েছি, কিন্তু মজিবুর রহমান একই আশ্বাস দিয়ে যায়।
 আমার শালার কাছে আছে এনে দিতে একটু সময় লাগবে, কিছুদিন এর ভেতর দিয়ে দেব, দিচ্ছি, এই রকম করতে থাকে।

আমি পরে বুঝতে পারি আমার শশুর মজিবুর রহমান আমাকে আমার মালামাল, টাকা পয়সা কিছুই দেবেনা, বরং আমার  সাথে মিল দিয়ে সময় নষ্ট করছে। যেন মামলা না করি।
(এক পর্জায়ে তাদের কাছে মালামাল চাইলে  তারা আমাকে হুমকি দেয় এবং ১৬-৮-২০১৭  আমাকে মারধর করে। মালামাল এর সূত্র ধরে শুধু মারামারির বিষয় টুকু আমি কোর্ট এ অবগত করি )

(৫) অবশেষে যখন বুঝতে পারি আমাকে মিথ্যা আশা দিয়ে সময় পার করচ্ছে। আমি কাবিননামা উঠানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কজী বিয়ে পরিয়েছে বলে স্বীকার করে এবং কাবিন দেবেনা বলে বিভিন্ন তালবাহানা করে।
তার একটি রেকর্ড আমি নিচে দিলাম।
রেকর্ড ২ কাজি

তারপর মাননীয় রাঙ্গামাটি জেলা সদস্য মোঃ জানে আলম সাহেব কাজির কাছে ফোন করেন কাবিন এর জন্য কাজি তখনো স্বীকার করেন বিয়ে পড়িয়েছে বলে।  তখন মাননীয় জেলা সদস্য জানে আলম সাহেবের মারফতে আমির হোসেন।গ্রামঃ ফুরের মুখ শাহাদাৎ টিলা, থানাঃ লংগদু, জেলাঃ রাঙ্গামাটি নামের একজন লোক  পাঠাই তখন  কাজী  বিয়ে পড়ায় বলে স্বীকার  করে এবং মেয়ের বাবার কথা বলে যে, আপনারা এক হয়ে আসেন তাহলে আমি কাবিন দিতে পারবো। অতঃপর কাবিন টি এখন পর্যন্ত দিলই  না।

(৬) এমন অবস্থায় আমাকে কোন প্রকার নুটিশ / তালাক না দিয়েই আমার ইস্ত্রী মর্জিনা আক্তার মিম কে ২য় বিয়ে দেয় 28-7-2017 মজিবুর রহমান।

(৭) পরবর্তিতে আমার ইউ পি চ্যারমেন বরাবর পতারনা মূলক নোটিশ প্রদান করে 18-8-2017
যেটি পাঠানোর কথা আমার ইউপি চেয়ারম্যান এর বরাবর তার বিয়ের ৯০ দিন আগে, অথছ আমার চেয়ারম্যান  পায় বিয়ের প্রাই ১ মাস পর।

(৮) আমি যে তাকে বিয়ে করেছি তার আরএকটি জলন্ত প্রমান তার প্রতারনামুলক তালাকনামার নোটিশ টি । আমাকে আমার পড়িবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের আত্মসাৎ,  ভয়ভীতি, মিথ্যা অভিনয় ও পতারনার কারনে।


আমার সম্ভাব্য গণ্যমান্য জনদের সহিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা এবং আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করিয়া অভিযোগ পেশ করতে বিলম্ব হইল।
অতএব , মহোদয় উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগত ব্যাবস্থা গ্রহন করিতে মর্জি হয়।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

মিম এর ২য় বিয়ে ইয়াকুব আলীর সাথে